আগামীকাল থেকেই চালের দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত ধান ও চাল উৎপাদন হয়। তার পরও চালের দাম বাড়ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আগামীকাল থেকেই চালের দাম নিম্নমুখী দেখতে চাই। ‘ এ সময় চালের বাজার নিম্নমুখী রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তার পরও ধাপে ধাপে চালের দাম বাড়ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। এর কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মাঠ পর্যায়ের সঠিক তথ্য আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণে কাজে লাগবে। ‘
দেশের বাজারে চালের অভাব নেই। কিন্তু দাম কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলের স্টক ভেরিফিকেশন করতে হবে, কতটুকু ক্র্যাশিং হলো, কতটুকু সরবরাহ হলো তা প্রতিদিন নিয়মিত রিপোর্ট করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রমজান মাসে চালের দাম বাড়ানো যাবে না। কাল থেকে ধাপে ধাপে কমাতে হবে। তা ছাড়া চালের বস্তায় ধানের জাত ও উৎপাদনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তার গাইডলাইন আমরা দ্রুত পাঠিয়ে দেব। কেউ অবৈধভাবে চাল মজুদ করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ‘
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, নিবিড়ভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামীতেও নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে। যারা অবৈধ কারসাজি ও মজুদদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও মূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুষ্টিয়া সদর সার্কেল) মো. আতিকুল ইসলাম, মিলার, আড়তদার, খুলনা বিভাগের সব জেলার খাদ্য খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ।