কাজী হায়াৎ বলেন, ‘কিচ্ছু বলার নেই আমার। শিমু আমার ছবিতে কাজ করেছিল। মেয়েটা আমার চোখে ভীষণ ভালো ছিল। মান্না ওকে আদর করত, আমিও ওকে ভালো জানতাম। কিন্তু আজ বস্তাবন্দী লাশের কথা শুনে তো বিস্মিত হলাম। খুবই দুঃখজনক। ভীষণ দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কি একটু অবনতি ঘটল? নাকি এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
শিমুকে নিয়ে কাজী হায়াৎ বললেন, ‘শিমু একজন শিল্পী। আফটার অল দারুণভাবেই শিল্পীমনা ছিল। তীব্র ইচ্ছা ছিল চলচ্চিত্র এবং শিল্প অঙ্গনে কিছু করার। এই ভাবে বস্তাবন্দী লাশ হওয়া খুব দুঃখজনক। এমনটা আর যেন না হয়, তেমনটাই চাওয়া হবে। কিন্তু ও যে এভাবে চলে গেল, এটা খুবই দুঃখজনক। তবে শিমু চলে গেলেও এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক তথ্য বের হয়ে আসা উচিত। যারা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। আর কোনো দিন কেউ যেন এমন চিন্তাই করতে না পারে।
শিমুর খোঁজ প্রথম কীভাবে পেয়েছিলেন কাজী হায়াৎ—এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, “ওর ভাই খোকন এফডিসিতে ঘোরাঘুরি করত। তার সঙ্গে মান্নার ভাইয়ের যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রে মান্নার সঙ্গেও পরিচয়। একদিন শিমুকে এনে মান্না বলল, হায়াৎ ভাই, দেখেন তো এই মেয়েটা চলে কিনা? চলচ্চিত্রে অভিনয় করার তাঁর খুব আগ্রহ। আমিও বললাম, ওকে। আমার প্রথম সিনেমা ‘বর্তমান’ প্রথম কাজ করল। এরপর ‘মিনিস্টার’–এ অভিনয় করে। দুইটা সিনেমায় মান্নার অনুরোধে শিমুকে নেওয়া।”