দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার
দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাতারে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
অন্যদিকে, দেশটিতে হাউস ভিসা চালু থাকলেও বন্ধ রয়েছে কোম্পানি ভিসা। এতে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। শ্রমিক সংকটের কারণে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় বন্ধ শ্রমবাজার চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
করোনার মধ্যেও থেমে নেই চলতি বছর ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের নির্মাণ খাতের কর্মযজ্ঞ। তবে এ কর্মযজ্ঞের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। কেননা, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালকে ভিসা প্রদান চালু রাখলেও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছে কাতার।
এদিকে, দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে বন্ধ রয়েছে কোম্পানি ও দোকানপাটের ভিসা। তবে নারী ও পুরুষ কর্মীদের জন্য চালু রয়েছে হাউস ভিসা। তবে কোম্পানি ভিসা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। শ্রমিক সংকটের কারণে ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে বন্ধ শ্রমবাজার চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসকে উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কাতারে চার লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। দেশটিতে কিছুসংখ্যক প্রবাসী ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকলেও অধিকাংশই কর্মরত রয়েছেন নির্মাণশ্রমিক হিসেবে। কাতার বিনির্মাণে ও ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম তৈরিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বড় অবদান থাকলেও অজানা কারণে কাতারে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।