ব্ল্যাক আউট বোমা তৈরি করছে চীন, মানুষ মরবে না, নামবে বিপর্যয়
বোমা পড়বে, বিস্ফোরণও ঘটবে অথচ কোনো প্রাণহানি হবে না। তবে যে এলাকায় এই বোমা পড়বে সেখানকার জনজীবন স্থবির হয়ে যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে নয়া জমানার ‘ব্ল্যাক আউট বম্ব’ তৈরি করেছে চীন। ব্ল্যাক আউট বোমা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কোনো শহরের যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে জনজীবনে বিপর্যয় নামাতে পারে।
চীনের অ্যাকাডেমি অব লঞ্চ ভেহিকল টেকনলজির দাবি, তাদের তৈরি এই ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস ক্ষেপণাস্ত্র তিন হাজার কিলোমিটার দূরেও শব্দের চেয়ে ছয়গুণ দ্রুতগতিতে আঘাত হানতে পারে। এ ক্ষেপণাস্ত্র নজরদারি চালানোর জন্য মহাকাশের আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম। চীনের বিজ্ঞানীরা বলেন, এ ক্ষেপণাস্ত্রে প্রচলিত কোনো ব্যাটারি থাকবে না। ব্যাটারির ড্রাই সেলের পরিবর্তে এতে সুপারক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হবে। তারা আরো জানান, কোনো এলাকায় আঘাত হানার পর ওই ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হতে শুরু করবে।
ফ্লাক্স কমপ্রেশন জেনারেটর-এর মাধ্যমে একটা শক এনার্জি তৈরি হয়। এর ফলে একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ বজ্রপাতের সময় যে আলোকরশ্মি তৈরি হয়, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) এক আঘাতেই তার চেয়ে বেশি রশ্মি সৃষ্টি করতে পারে যা ১০ সেকেন্ডের জন্য লক্ষ্যস্থলের বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। যেখানে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হবে তার দুই বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।